অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ বাংলাদেশে ঢাকার গুলশানের রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে হামলার পর সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই ঐক্য ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে, তবে যারা ‘মানুষ পোড়ায়’ ও ‘যুদ্ধাপরাধী’ – তাদের কথা আলাদা।
আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলন থেকে ঢাকা ফিরে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, “যাদের ঐক্য হলে সত্যিকারভাবে সন্ত্রাস দূর করা যাবে. তাদের ঐক্য ঠিকই গড়ে উঠেছে, এবং এ ঐক্য থাকবে।”
“তবে যারা এই সমস্ত সন্ত্রাসী জঙ্গীবাদ, পুড়িয়ে মানুষ মারা, যুদ্ধাপরাধ এসবের সাথে যারা জড়িত – তাদের কথা আলাদা” – এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।
এর আগে মূলত বিএনপি থেকে একটি সন্ত্রাসবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্যের কথা বলা হয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ এক্ষেত্রে জামায়াতের সাথে তাদের জোটকে এক্ষেত্রে বাধা হিসেব উল্লেখ করেছিলেন এবং জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে জাতীয় ঐক্যের একটি সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে এমন একটি ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নতুন কোন ঐক্যের প্রয়োজন নেই বলে বেশ স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত দিলেন।
সচ্ছল উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া তরুণরা গুলশান ও শোলাকিয়ার আক্রমণের পেছনে ছিল – এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, “যাদের জীবনের সব চাহিদাই পূরণ হয়ে গেছে তারা পথ খুঁজে না পেয়ে খুনখারাবিতে জড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি মন্তব্য করেন,”তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের, ইংলিশ মিডিয়ামে পড়েছে । এখন তারা হুর-পরী পাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।”
গুলশান ও শোলাকিয়ার ওই দুটি ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার যে কথা বলেছে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্য এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাবার ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহ আছে।
প্রধানমন্ত্রী মূলত: গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের দিকেই বেশি জোর দিয়েছেন, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা বলছেন। কোথা থেকে এসব সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তাদের অস্ত্র এবং অর্থ যোগানদাতা কারা – এসব বিষয় খুঁজে বের করার বিষয়ে সহযোগিতার কথা বলেছেন তিনি।
তবে সন্ত্রাস দমনের জন্য জনসচেতনতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – বলেন শেখ হাসিনা।